১৯৯১ সনের ২৯ এপ্রিল ছিল উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর এক বিভীষিকাময় স্মৃতি। ওই সময় জেলার উপকূল কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, পেকুয়ার রাজাখালী মগনামা লন্ডভন্ড হয়েছিল। অনেকে হারিয়েছে মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন। সহায় সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। ২৬ বছর পরও উপকূল অঞ্চল অরক্ষিত। প্রতিনিয়ত শংকায় থাকে উপকূলবাসী। নৌ-বাহিনীর তত্বাবধানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি দীপাঞ্চল বাসীর। এ দাবি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক রয়েছে। কক্সবাজারস্থ কুতুবদিয়া ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে ২৯ এপ্রিল স্মরণে শোক র্যালীত্তোর আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বক্তারা বলেন। পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি হুমায়ুন সিকদার’র সভাপতিত্বে র্যালীত্তোর শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক হিমছড়ির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র সেক্রেটারি হাসানুর রশীদ, মাতারবাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ উল্লাহ, কুতুবদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান মোশারফ হোসেন খোকন, কালারমারছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কাদের বাবুল। মাস্টার মাহবুবুল হক’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক ওমর ফারুক দিনার, সহ-সেক্রেটারি সালাহ উদ্দিন মো: তারেক, নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক আতাউর রহমান খান কায়সার, পরিষদের সাবেক সভাপতি ফসিহ উদ্দিন, আব্দুল গফ্ফার কুতুবী, ছাত্র পরিষদ সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম ইমন, সহ-সাংগঠনিক মো: মুকিম, ২৯ এপ্রিল স্মৃতি পরিষদ আহ্বায়ক আবু তাহের কুতুবী ও নদী বিশেষজ্ঞ ইসলাম মাহমুদ। সকাল ৯টায় হলিডের মোড থেকে শোকর্যালী শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে র্যালীত্তোর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, কুতুবদিয়া-মহেশখালীর ৬৯, ৭০ ও ৭১ নং ফোল্ডারে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শিগ্গির শুরু হচ্ছে। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার আন্তরিক রয়েছে। এছাড়া কুতুবদিয়ার চর্তুপাশের্^ নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাশ হয়েছে। স্মরণ সভায় বক্তারা কুতুবদিয়ার চর্তুপাশের্^ বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থানরত অসহায় পরিবারবর্গকে পূণর্বাসন, জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সংযোগ, কুতুবদিয়া-মগনামা ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
পাঠকের মতামত: